বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, বিপিএমসহ অন্য নেতৃবৃন্দ। ছবি : বগুড়া জেলা প্রতিনিধি

বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন নিয়ে অনেকে সংশয়ে ছিলেন। সব সংশয়, নেতিবাচক প্রচারণা আর ষড়যন্ত্রকে এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের জটিল বিরোধ নিষ্পত্তির এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করলেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, বিপিএম।

১১ বছর পর বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ১২তম ত্রিবার্ষিক সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৬ নভেম্বর। গতকাল শনিবার (৪ ডিসেম্বর) শপথ নিলেন নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণ।

বগুড়ার এসপির মধ্যস্থতায় নির্বাচনের আগে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বিরোধী দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। মোটর শ্রমিক নেতৃবৃন্দের এই বিরোধ নিরসনের লক্ষ্যে পুলিশ সুপার একাধিকবার শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন।

পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বৈঠকে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের দুটি পক্ষ উপস্থিত হয়ে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে পারস্পরিক অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় সব পক্ষের শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দেন।

অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, বিপিএম। ছবি : বগুড়া জেলা প্রতিনিধি

এ সময় মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের উভয় পক্ষ ১১টি শর্ত সংবলিত একটি অঙ্গীকারনামাও স্বাক্ষর করেন। অঙ্গীকারনামাটি তারা পুলিশ সুপার, বগুড়া বরাবর দাখিল করেন।

বগুড়া জেলার ২০ সহস্রাধিক মোটর শ্রমিকের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে শক্তিশালী নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সুদক্ষ পরিচালনায় এবং জেলা পুলিশ বগুড়ার কঠোর নিরাপত্তাবলয়ের মধ্য দিয়ে ২৬ নভেম্বর একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ, স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। তাই অভিষেক অনুষ্ঠানেও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বারবার পুলিশ সুপারের অবদানের কথা স্মরণ করেন।