যশোর ডিবির অভিযানে উদ্ধার হওয়া চোরাই মোটরসাইকেল। ছবি: পুলিশ নিউজ

চারটি জেলায় অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া ১১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে যশোর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এগুলোর মধ্যে চারটি মোটরসাইকেল শনাক্ত করেছেন গাড়িগুলোর মালিকেরা।

গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর ডিবির একটি চৌকস দল যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১১টি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

জেলা পুলিশ জানায়, উদ্ধারের পরপরই চোরাই দুটি মোটরসাইকেল শনাক্ত হয়। এগুলো হলো ১৫০ সিসি লাল-কালো রঙের বাজাজ পালসার ও ১৫০ সিসি নীল রঙের সুজুকি জিকসার মোটরসাইকেল। ওই দুটি গাড়ির মালিকেরা যশোরের কেশবপুর ও ঝিকরগাছা থানায় চুরির মামলা করেছিলেন।

গত ১০ সেপ্টেম্বর কেশবপুরের ভোগতী নরেন্দ্রপুর এলাকার শফিকুল ইসলাম যশোর ডিবি অফিসে গিয়ে তাঁর চুরি যাওয়া নীল রঙের ১৫০ সিসি ইয়ামাহা এফজেটএস ভার্সন ২ গাড়িটি শনাক্ত করেন। তিনি এ নিয়ে কেশবপুর থানায় মামলা করেছিলেন।

সবশেষ রোববার খুলনা পুলিশ লাইনসে কর্মরত ডুমুরিয়া থানার সাবেক পুলিশ কনস্টেবল হৃদয় চৌধুরী এসে তাঁর চুরি যাওয়া কালো রঙের সুজুকি জিকসার এসএফ ১৫০ সিসি মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করেন।

ডিবি জানিয়েছে, চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারে ডিবি কার্যালয়ে আবেদন করেছেন অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী।

এদিকে মোটরসাইকেল উদ্ধারের খবর পেয়ে যশোরসহ আশপাশের জেলার ভুক্তভোগীরা ডিবি কার্যালয়ে আসছেন। কেউ কেউ আবার অনলাইনে খবর নিচ্ছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া চোর সিন্ডিকেট যশোরসহ আশপাশের জেলাগুলোর বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে দূরবর্তী জেলাগুলোতে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তাদের সহযোগীদের কাছে বিক্রি করছে। এমন তথ্যপ্রমাণ আছে ডিবির কাছে।