নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ও এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত অনলাইন সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া ইমতিয়াজ সেলিম ওরফে ইমাদুল আমিনকে (৪১) গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিসিসি) ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগ।

গত মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশে জঙ্গি ও মৌলবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তারা কয়েক বছর ধরে অনলাইন সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মকাণ্ড গতিশীল করতে বিভিন্ন প্রচার চালিয়ে আসছিল। সর্বশেষ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ‘জালিম হাসিনা এবং ঔপনিবেশবাদী মার্কিনীদের কবল থেকে মুক্তির উপায়’ বিষয়ক অনলাইন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনটি লেবাননভিত্তিক একটি আইটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হয়। সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য সংগঠনটির সদস্যরা রাজধানীসহ সারা দেশে পোস্টারিং এবং অনলাইনে প্রচারণা চালায়।

এ সম্মেলনের দ্বিতীয় বক্তা ও হিজবুত তাহরীরের অন্যতম নেতা এবং বর্তমানে সক্রিয় নেতৃত্বদানকারী ইমতিয়াজ সেলিম ওরফে ইমাদুল আমিন (৪১)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমতিয়াজ সেলিম সিটিটিসিকে জানিয়েছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে রাজধানীর বনানীতে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বিক্রয় বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত ইমতিয়াজ মার্শাল আর্টে ব্ল্যাক বেল্টধারী। বাংলাদেশ জাতীয় কারাতে ফেডারেশনের তালিকাভুক্ত প্রশিক্ষক ও আন্তর্জাতিক রেফারি। এ ছাড়া তিনি জাপান কারাতে অ্যাসোসিয়েশনের লাইসেন্সধারী প্রশিক্ষক। সংগঠনটির জন্য বিশেষ অ্যাপস ও এনক্রিপ্টেড অ্যাপসের মাধ্যমে সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। পাশাপাশি বিভিন্ন কৌশলে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।

গ্রেপ্তার ইমতিয়াজ সেলিমের সাংগঠনিক ছদ্মনাম ইমাদুল আমিন। ৮ ডিসেম্বর ডিএমপির রমনা থানায় অনলাইন মিটিংয়ে জড়িত থাকায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সূত্র: জাগো নিউজ