চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে উত্তম বর্মন ও তাঁর স্ত্রী কাজলী রানী বর্মনকে খুনের ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে ২ জন আদালতে জবানবন্দি দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।

গতকাল রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়। তিনি জানান, ঘাতকদের উদ্দেশ্য ছিল এই দুজনকে সরিয়ে দিয়ে বাড়িটি তাঁদের দখলে নেওয়া। কিন্তু চিনে ফেলার কারণে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ সময় বসতঘর থেকে কিছু মালপত্রও নিয়ে যান তাঁরা।

পরে এই ঘটনায় নিহতদের মেয়ে রীনা রানী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এরই মধ্যে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ২ জনসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে সোহাগ মুন্সি ও মিজান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার অন্য ব্যক্তিরা হলেন মাসুদ রানা (২৫), শ্যামল চন্দ্র শীল (২০), আলমাস (৩৫), নেছার আহম্মেদ (৩০), রাকিব হোসেন (২৩), রাশেদ ওরফে রাসেল (২৬) মাসুদ কামাল (৪৫) ও শাহ আলম বাবুল (৪২)।

৭ সেপ্টেম্বর রাতে চাঁদপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কূল গ্রামে উত্তম বর্মন ও তাঁর স্ত্রী কাজলী রানী বর্মন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

এ সময় হত্যাকারীরা জানালার গ্রিল কেটে তাঁদের বসতঘরে ঢোকে। পরে চিনে ফেলার কারণে তাঁদের হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

উত্তম বর্মন (৬৮) ও তাঁর স্ত্রী কাজলী রানী বর্মন (৫৫) ছিলেন এই বাড়ির কেয়ারটেকার। এখানে শুধু তাঁরা দুজনেই থাকতেন। আর বাড়ির মালিক দুলাল সাহা তাঁর পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রাশেদ চৌধুরী, ডিআইও-১ মনিরুল ইসলাম, হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।