হাইওয়ে পুলিশের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, হাইওয়ে পুলিশের প্রধান, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট হাইওয়ে পুলিশের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান, এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএমের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার)।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ সংশ্লিষ্টরা।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান অতিরিক্ত আইজি মো. মনিরুল ইসলামসহ বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিকনেতা এবং সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্ট নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হাইওয়ে পুলিশ প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। ট্রাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে এরই মধ্যে হাইওয়ে পুলিশে ড্রোন সংযোজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতার ফলে গত ঈদুল ফিতরে জনগণের যাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে।

মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, এবার ঈদুল আজহায় জনগণ নির্বিঘ্নে তাঁদের নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন।

তিনি সড়কে নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি মাদক পরিবহন বন্ধে কাজ করার জন্য হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশনা দেন।

জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলা শুধু হাইওয়ে পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন সড়ক ব্যবহারকারীদের ট্রাফিক আইন মান্য করা।

তিনি ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেন, হাইওয়ে পুলিশ আন্তরিকতার সঙ্গে সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কাজ করছে। আজ হাইওয়ে পুলিশের অস্তিত্ব সব স্থানে দৃশ্যমান।

পুলিশপ্রধান বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পশুবাহী কোনো গাড়ি থামানো যাবে না বলে পুলিশের সব ইউনিটকে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশ সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আইজিপি আরও বলেন, জনগণ যাতে নিরাপদে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছতে পারে, সে জন্য হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ ইউনিট আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার) বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও নিরাপদ সড়ক গঠনের জনপ্রত্যাশা পূরণে হাইওয়ে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি হাইওয়ে পুলিশের জনবল বাড়ানো এবং আইন প্রয়োগে কঠোরতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইওয়ে পুলিশের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। পরে এ উপলক্ষে একটি কেক কাটা হয়।