রিকশাচালক সাদেক মিয়ার স্ত্রী লাভলী আক্তারের হাতে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা তুলে দিচ্ছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা পিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

হত্যার শিকার অটোরিকশাচালক হাবিবুর রহমান ও রিকশাচালক সাদেক মিয়ার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা পিপিএম।

মঙ্গলবার (২ মে) নিজ কার্যালয়ে ভুক্তভোগী দুই পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকা করে তুলে দেন পুলিশ সুপার।

জানা গেছে, ভুক্তভোগীদের পরিবারের আর্থিক ও সামাজিক দুরবস্থার কথা জানতে পেরে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেন পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা পিপিএম ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রিকশাচালক সাদেক মিয়ার দুই শিশুসন্তান ও তাঁর স্ত্রী লাভলী আক্তার এবং অটোরিকশাচালক হাবিবুর রহমানের সন্তান ও তাঁর স্ত্রী ফজিলা খাতুনের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।

পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা পিপিএম জানান, এই টাকা এফডিআর করার বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এরই মধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের সামাজিক ও আর্থিক পুনর্বাসন করতে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) ময়মনসিংহের উদ্যোগে বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী শিশুদের পুনর্বাসন ও শিক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অটোরিকশাচালক হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ফজিলা খাতুনের হাতে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

এ সময় পুলিশ সুপারের কাছে রিকশাচালক সাদেক মিয়া হত্যার বিচার দাবি করেন তাঁর মেয়ে (১০) সাদিয়া আক্তার লিজা। জবাবে দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন পুলিশ সুপার।

এ সময় ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রায়হানুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহীনুল ইসলাম ফকির ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।