রক্ত দিয়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যেকোনো নেতিবাচক কাজ থেকে বিরত এবং এ সম্পর্কে সচেতন থাকতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ও শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন।
আইজিপি বলেন, এ দেশে একসময় স্বাধীনতার চেতনা বিলুপ্ত হওয়ার পথে ছিল। মুক্তিযুদ্ধ কীভাবে হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে কীভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে এ দেশের মানুষ একত্র হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তা অনেক দিন ধরে মানুষের মধ্যে আলোচিত হতো না। শিক্ষাঙ্গনগুলোতে এখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা আমাদের কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা দেওয়া হয়, যাতে তারাও আমাদের গর্বিত অর্জন স্বাধীনতার জন্য গর্ববোধ করতে পারে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, তোমরাই হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক। তোমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কেউ মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও কিশোর অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। কারণ, এ প্রতিষ্ঠানে নৈতিকতার দিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়।
পুলিশপ্রধান বলেন, শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অত্যন্ত সফলভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে এরই মধ্যে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে মর্যাদা ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটির ফলাফলও ঈর্ষণীয়। এ জন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এ সময় কলেজের শিক্ষার্থীদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন আইজিপি। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যের ওপর এক মনোজ্ঞ ডিসপ্লে পরিবেশন করে।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ, কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. জাকির হোসেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
