শিল্পীর চোখে গ্রহাণুতে লুসির অভিযান। ছবি: নাসা

চাঁদের বুকে মানুষের পা পড়েছে। মঙ্গলের বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে কয়েকটি রোবটযান। এতেই ক্ষান্ত হতে চান না বিজ্ঞানীরা। আর তাই তো তাঁরা এবার সৌরজগতে ‘জীবাশ্মের’ খোঁজে নেমেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬ অক্টোবর উৎক্ষেপণ করার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশযান লুসি। খবর বিবিসির।

নাসার তথ্যমতে, মহাকাশযান লুসি পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণের পর সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির দিকে অগ্রসর হবে। ওই গ্রহের কক্ষপথে দুই গুচ্ছ গ্রহাণু ঘুরে বেড়াচ্ছে। এসব গ্রহাণুর জন্ম পৃথিবী থেকেই। পৃথিবীর জন্মের সময় এসব এখান থেকে ছুটে যাওয়া অংশগুলোই গ্রহাণু হয়ে এখন বৃহস্পতির কক্ষপথে ঘুরছে। লুসির কাজ হবে ওই দুই গুচ্ছ গ্রহাণু নিয়ে গবেষণা পরিচালনা।

নাসা বলছে, ওই দুই গুচ্ছ গ্রহাণু নিয়ে গবেষণা করলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যেতে পারে। এমনকি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের কোনো জীবাশ্মের খোঁজও পাওয়া যেতে পারে। এতে শুধু পৃথিবীর জন্মপ্রক্রিয়াই নয়, সৌরব্যবস্থার উদ্ভব ও পরিবর্তন সম্পর্কেও জানা যাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, লুসিকে অ্যাটলাস-ভি রকেটে করে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে স্থানীয় সময় ১৬ অক্টোবর ভোর ৫টা ৩৪ মিনিটে (গ্রিনিচ সময় সকাল ৯টা ৩৪ মিনিট) উৎক্ষেপণ করার কথা রয়েছে। লুসি বৃহস্পতির কক্ষপথে ১২ বছর কাজ করবে। এই সময়ে এটি সাতটি গ্রহাণুতে অনুসন্ধান চালাবে।