সৌদি আরবের জাজান শহরের বাদশাহ আবদুল্লাহ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা হয়েছে। এতে তিন বাংলাদেশিসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। জাজান ইয়েমেনের সীমান্তঘেঁষা শহর। হুতি বিদ্রোহীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সৌদি জোট।

আহত অন্য সাতজনের মধ্যে ছয়জনই সৌদি নাগরিক, আরেকজন সুদানের। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁরা সামান্য আহত হয়েছেন। অন্য পাঁচজনের অবস্থা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

শনিবার সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে প্রথমে সুরক্ষিত এলাকায় একটি ড্রোন থেকে গুলি ছোড়া হয়। পরে আরেকটি ড্রোন বিমানবন্দরের সামনের দিকের জানালায় হামলা চালায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর শনিবার সকালে একই স্থানে হামলার চেষ্টাকালে বিস্ফোরক ভর্তি একটি ড্রোন আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা সদস্যরা।

সৌদি জোট বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তুর্কি আল মালিকি বলেছেন, সৌদি বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেন থেকে জাজানের উদ্দেশে হুতিদের ছোড়া দুটি সশস্ত্র ড্রোন প্রতিরোধ করে ধ্বংস করেছে। ড্রোনের কিছু ধ্বংসাবশেষ বিমানবন্দরের ভেতরে পড়ায় কয়েকজন যাত্রী ও কর্মী আহত হয়েছেন।

এদিকে বিমানবন্দরে এ হামলার ঘটনায় এখনো কেউ দায় স্বীকার করেনি। তবে সম্প্রতি জাজানসহ ইয়েমেনের সীমান্তঘেঁষা সৌদি আরবের শহরগুলোতে হামলা চালাচ্ছে হুতি বিদ্রোহীরা। এ হামলার পেছনেও তাদের হাত রয়েছে বলে দাবি সৌদির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।