নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি যুক্ত হবে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারেরা। এ লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহেই বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যে সমঝোতা হতে পারে। খবর কালের কণ্ঠের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং অন্য মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) খসড়া নিয়েও উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।
নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের শিবির থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা বিরোধিতা করলেও সরকারের অবস্থান ছিল স্পষ্ট। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর দায়িত্ব রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেওয়া। রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে, না ভাসানচরে, সেটি তাদের দেখার বিষয় নয়।’
ভাসানচরে জাতিসংঘের সম্পৃক্ত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় লন্ডন থেকে বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন, ইউকের (ব্রুক) প্রেসিডেন্ট তুন খিন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের অধিকার ও সুরক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তাদের জন্য বছরের পর বছর সীমান্ত খোলা রাখা এবং প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যতক্ষণ বাংলাদেশে আছে, ততক্ষণ তাদের সুরক্ষার বিষয়টি বাংলাদেশকেই নিশ্চিত করতে হবে।’