৯৯৯ নম্বরের লোগো

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় বাবা-মাকে মারধর করে বেঁধে রেখে মেয়েকে দলবেঁধে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার পশ্চিম চর মজিদ আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে মেয়েটির মা বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ওই দিন রাতেই পুলিশ পূর্বচরবাটা ইউনিয়নের চর মজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আসামিরা হলেন পশ্চিম চর মজিদ গ্রামের হাসান আহম্মদের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (৩৫) ও মফিজুর রহমানের ছেলে দিদার হোসেন (৩০)।

মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, স্থানীয় একটি বাহিনীর ২০-২৫ জন লোক রোববার রাত ১১টার দিকে তাঁদের বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় গৃহকর্তা ও তাঁর স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে বেদম মারধর করে বেঁধে রাখে তারা। এক পর্যায়ে ঘরে থাকা মেয়েকে দুজনে ধর্ষণ করে।
চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদিন জানান, রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে চরজব্বার থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সকালে ওই কিশোরী ও তার মাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই দিন রাতেই মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।