উদ্ধার করা চোরাই অটোরিকশা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

নোয়াখালীর সুধারাম থানার পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২০টি চোরাই অটোরিকশা এবং অটোরিকশার বিভিন্ন পার্টস, বডি, স্প্রিংসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করেছে। গ্রেপ্তার করেছে চুরির সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে।

জানা গেছে, ১৭ অক্টোবর সুধারাম থানা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসানের (৫৪) গ্যারেজের কর্মচারী মো. সহিদ (৩৮) গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা চুরি করে নারায়ণগঞ্জ আত্মগোপন করেন।

মোহাম্মদ হাসানের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সুধারাম থানায় মামলা হয়।

মামলাটি তদন্তকালে জানা যায়, মো. সহিদ নোয়াখালী জেলা চোর দলের সক্রিয় একজন সদস্য। তিনি নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অটোরিকশা চুরি করে সেগুলোর রং পরিবর্তন করে অন্যখানে বিক্রি করতেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামি মো. সহিদের অবস্থান নির্ণয় করেন। এরপর সুধারাম মডেল থানার একটি চৌকস টিম এসআই স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজের নেতৃত্বে বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলায় অভিযান পরিচালনা করে মো. সহিদকে গ্রেপ্তার করেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি চুরির ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে স্বীকার করেন। তাঁর থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর সহযোগী মো. জুয়েল (২৭) ও মো. খোরশেদ আলমকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে সুধারাম মডেল থানার ওই চৌকস টিম নোয়াখালী জেলার চরজব্বর, বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০টি চোরাই অটোরিকশা এবং অটোরিকশার বিভিন্ন পার্টস, বডি, স্প্রিংসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করে।

আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।