নোয়াখালী জেলা পুলিশের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হাকিম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। ছবি: নোয়াখালী জেলা পুলিশ।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সুধারামের ২০ নম্বর আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের আবদুল হাকিমকে (৩৫) গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর লাশ প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর ঢুকিয়ে সুধারাম মডেল থানাধীন ১৯ নম্বর পূর্ব চরমটুয়া পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের সফিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণে রাস্তার পূর্ব পার্শ্বে ইদ্রিস বড় মিয়ার বাড়ির পেছনের একটি জমিতে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়।

২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার সময় স্থানীয় লোকজন নতুন মাটি খননের চিহ্ন দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। এরপর সুধারাম থানার এসআই মো. মুহিউদ্দীন মাছুম লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে তা ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। পরে হাকিমের স্ত্রী রুবিনা বেগম বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন। এসআই মো. মুহিউদ্দিন মাছুমকে মামলার তদন্তভার অর্পণ করা হয়।

আবদুল হাকিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি। ছবি: নোয়াখালী জেলা পুলিশ

সুধারাম থানায় মামলা হওয়ার পর নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম পিপিএম (বার) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও দিকনির্দেশনায় সুধারাম থানা-পুলিশের একটি চৌকস দল মামলার ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে স্থানীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীকে চিহ্নিত করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরে প্রাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামি রিপু ও সোহেল হোসেন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গত ১১ ও ১২ মার্চ তারিখ আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উক্ত ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীর সঙ্গে নিহত আবদুল হাকিমের পূর্ব শত্রুতা ছিল এবং একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা চলমান ছিল। পরিকল্পনাকারী পূর্বশত্রুতার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আবদুল হাকিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।