সুদানে বেসামরিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি

সুদানে গুলিতে অন্তত তিন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮০ জন। আফ্রিকার দেশটিতে অভ্যুত্থানের খবরে বিক্ষোভকারীরা সড়কে নেমে এলে সেনাসদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। খবর বিবিসির।

সুদানের সামরিক বাহিনী ২৫ অক্টোবর (সোমবার) ভোরে বেসামরিক নেতাদের গ্রেপ্তার করে জরুরি অবস্থা জারি করে। অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহান বলেছেন, রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই সামরিক বাহিনীকে পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।

সুদানের দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল-বশির দুই বছর আগে ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর থেকেই দেশটিতে বেসামরিক ও সামরিক নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

স্থানীয় সূত্র বলেছে, রাজধানী খার্তুমে সেনাসদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্ষোভ আয়োজকদের গ্রেপ্তার করছে। তবে তাতে দমে যায়নি বিক্ষোভকারীরা। ২৫ অক্টোবর রাত নামার পর যেন বিক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। রাজধানী ছাপিয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশটির অন্যান্য শহরেও। তারা সবাই বেসামরিক শাসনের দাবি জানাচ্ছে।

অভ্যুত্থানের পর থেকেই সুদানের খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ২৫ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতিতে গেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মীরা।

সুদানের তথ্য মন্ত্রণালয় ফেসবুকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক বাহিনীর ‍গুলিতে তিন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।

এদিকে অভ্যুত্থানের খবরে সুদানের জন্য বরাদ্দ ৭০ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সুদান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপী ইউনিয়ন (ইইউ), জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। তারা সবাই রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত এই নেতাদের মধ্যে সুদানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবদালা হামদো ও তাঁর স্ত্রীও রয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা ও অন্যান্য বেসামরিক নেতাও রয়েছেন গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকায়। এই নেতাদের অজ্ঞাত জায়গায় রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।