সিলেট জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ লাইনসের মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এসপি এম. শামসুল হক মিলনায়তনে বুধবার দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাবিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ

সিলেট জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ লাইনসের মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এসপি এম. শামসুল হক মিলনায়তনে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাবিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম। সহকারী পুলিশ সুপার শেখ মুত্তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন ঘোষ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম সরকার, গোলাপগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী এবং জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইনসহ সিলেট জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সব থানার ওসি, সিলেট জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও সিলেট মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, সিলেট মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুব্রত দেব, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিষয়ে সব থানা থেকে আগত পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও উপস্থিত সবার মতামত নেন।

সভায় পুলিশ সুপার জানান, সিলেটে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও নিজ নিজ ধর্ম সুষ্ঠুভাবে পালন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা সতর্ক রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হবে।

এ ছাড়া তিনি সিলেট জেলাধীন সব সার্কেল ও থানার ওসিদের পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশ সুপার পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের তাঁদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে জরুরি মুহূর্তে জেনারেটর রাখা, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন, নারী-পুরুষ আলাদা লাইনে প্রবেশ ও বেড়ানোর ব্যবস্থা করা, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে আজান ও নামাজের সময় মাইক বন্ধ রাখা, সম্ভব হলে সিসিটিভি স্থাপন করা, প্রতিটি মন্ডপে আগুন নিয়ন্ত্রক সিলিন্ডার রাখাসহ বিভিন্ন দিকনিদের্শনা প্রদান করেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে, যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা অঘটনের সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিলেট জেলা পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

উল্লেখ্য, এবারে সিলেট জেলার ১১টি থানার ৪৬২টি পূজামন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।