গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা। ছবি : এসএমপি প্রতিনিধি

সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে ‘শিলং তীর’ জুয়া খেলার সামগ্রীসহ ৭ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, গতকাল সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসএমপি কোতোয়ালি মডেল থানাধীন ঘাসিটুলা মোকামবাড়ী এলাকার একটি পুরাতন পরিত্যক্ত হোটেলে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন মো. আলী হোসেন (২৩); তাঁর বাড়ি সিলেটের ছাতক থানার নেথর চইর গ্রামে। তবে বর্তমানে তিনি একই জেলার লামাপাড়ার আফতাব মিয়ার কলোনিতে বাস করেন। মো. তাজুল ইসলাম (৩২); তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার রাজনগর এলাকার বাসিন্দা। মো. আলতাব মিয়া (৩৬); তাঁর বাড়ি জকিগঞ্জ থানার ছালেকপুর গ্রামে। বর্তমানে তিনি মোকামবাড়ি, পাখি মিয়ার কলোনিতে বাস করেন। মো. সুমন মিয়া (২১); তাঁর বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার সাকির মোহাম্মদ বাজার এলাকায়। বর্তমানে তিনি সিলেটের কোতোয়ালি থানার বেতেরবাজার সুহেল মিয়ার কলোনিতে বাস করেন। মো. শাহীন আহমদ (৪৫); তিনি হবিগঞ্জের হাসেরা পানডাইল এলাকার বাসিন্দা। মো. কফিল উদ্দিন (৪২); তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানার কাটাখালী এলাকায়। বর্তমানে তিনি সিলেট জেলার কোতোয়ালি থানার মোকামবাড়ি নিজাম মিয়ার কলোনিতে বাস করেন। মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ (৩২); তাঁর বাড়ি রাজশাহীর পুটিয়া থানার সাতবাড়িয়া গ্রামে। বর্তমানে তিনি সিলেটের কোতোয়ালি থানার মুর্শেদ মিয়ার কলোনিতে বাস করেন।

ডিবি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে জুয়া খেলায় ব্যবহৃত তাস ও ‘শিলং তীর’ জুয়া খেলার বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে অর্থের বিনিময়ে তাস এবং ‘শিলং তীর’ জুয়ার বোর্ডটি পরিচালনা করে আসছিলেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ডিবি।