শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ও ১২ গুণীজনকে হু’জ হু বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২২ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি ) রাতে রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা দেওয়া হয় সিটিটিসিকে। সিটিটিসি প্রধানের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মিশুক চাকমা।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, হু’জ হু বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী নাজিনুর রহিমসহ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত বাকি গুণীজনেরা হলেন- শিক্ষায় সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, শিল্প ও সংস্কৃতিতে রুনা লায়লা, সাংবাদিকতায় ইহসানুল করিম, শিল্প ও সাহিত্যে ড. অগাস্টিন ক্রুজ, সামাজিক কর্মকাণ্ডে কাজী রফিকুল আলম, ক্রীড়ায় সাবরিনা সুলতানা, কৃষিতে লায়ন কহিনুর কামাল, শিল্প-বাণিজ্যে এস এস গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মু. আবু সাদেক, উদ্যোক্তায় স্ট্যান্ডার্ড ফিনিস অয়েলের ম্যানেজিং পার্টনার সুলাইমান এস আযানী, নারী উদ্যোক্তায় নাসিমা আক্তার নিশা, পেশাজীবী বিভাগে প্রফেসর ড. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ, আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে শিল্পী রফিকুন নবী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মানুষের বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি আর্থিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছে সরকার। বস্তুগত উন্নয়নের সঙ্গে যদি আর্থিক উন্নয়নের সমন্বয় ঘটানো না হয় তা হলে সে উন্নয়ন টেকসই হয় না। সে উন্নয়ন কোনও একসময় নৈতিকতার অবক্ষয়, মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে থমকে যেতে পারে।

তথ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, পুরস্কার পাওয়া প্রতিষ্ঠান সিটিটিসি এবং গুণীজনেরা দেশের কল্যাণে আরো কাজ করে যাবেন।

জঙ্গিবাদ দমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সিটিটিসিকে হু’জ হু বাংলাদেশ আওয়ার্ড দেওয়া হয়। জঙ্গিবাদ দমনে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে সিটিটিসি সব সময় মুখ্য ভূমিকা রেখে আসছে এবং ভবিষতেও রাখবে।

হু’জ হু ১৮৪৯ সাল থেকে সারা বিশ্বের অনুসরণীয় গুণীজনদের পুরস্কার প্রদান ও সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করে আসছে। এ পর্যন্ত বিশ্বের ৩৩ হাজার গুণীজনের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করেছে। প্রতি দুই বছর অন্তর ‌‌‌’হু’জ হু বাংলাদেশ’ এই পদক দিচ্ছে। ২০১৬ সালে প্রথম বাংলাদেশে গুণীজনদের সম্মাননা দেওয়া শুরু করে হু’জ হু বাংলাদেশ।