পুলিশি হেফাজতে গ্রেপ্তার ৪ অপহরণকারী। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

একজন ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ সুরমা থানার পুলিশ ৪ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

সৈয়দ এমরান হোসেন (৪৫) নামের ওই কাপড় ব্যবসায়ীকে গত ৭ অক্টোবর ভোরে অপহরণ করা হয়।

এমরান হোসেন ব্যবসার মালামাল (কাপড়) আনার জন্য ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে দক্ষিণ সুরমা থানাধীন কদমতলী পয়েন্টে আল-সাফা রেষ্ট হাউজ থেকে বের হয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠামাত্রই অপহরণকারীরা ২টি মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে এসে তাকে ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক একটি মোটরসাইকেলে তুলে নেন।

এরপর কোতোয়ালি থানাধীন মধুবনের সামনে সবুজ বিপনী রেস্ট হাউজের একটি রুমে নিয়ে আটকে রেখে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এরপর মারধর, কিলঘুষি লাথি ও চাকুর ভয় দেখিয়ে নগদ ৮৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। এরপর আরো চাঁদা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে ইমোতে ভিডিও কল দিয়ে গলায় চাকু ধরে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা আদায় করে।

পরদিন ৮ অক্টোবর রাত আনুমানিক ২টার সময় এমরান হোসেনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর ১০ অক্টোবর তিনি দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি অপহরণের মামলা করেন।

মামলার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মাইন উদ্দিন খানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ও অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল হাসান তালুকদারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণের ঘটনায় জড়িত এজাহারনামীয় আসামি মো.তমিজ আলী (৪০), মো. সাজ্জাদ মিয়া (৪৫), মো. নয়ন মিয়া (৩৫) ও তপু রঞ্জন দেবকে (৩৫) হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে অপহরণের ঘটনায় ব্যবহৃত ১টি মোটরসাইকেল (রেজি নং-ঢাকা মেট্রো-ল-১৭-২৬১৪) ও চাঁদাবাজির ৩ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদেরকে ১১ অক্টোবর যথাযথ পুলিশ প্রহরায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান তালুকদার।