চট্টগ্রামে সিএনজিচালিত ও ডিজেলচালিত গণপরিবহন চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এ জন্য সিএনজিচালিত গণপরিবহনগুলোতে বিশেষ রঙের ব্যবহার করা হবে, যাতে সহজেই বোঝা যায় কোনটি ডিজেলচালিত এবং কোনটি সিএনজিচালিত গণপরিবহন।

ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে সরকার শুধু ডিজেলচালিত গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামে সিএনজিচালিত গণপরিবহনগুলোতেও বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এই কারণে এমন উদ্যোগ নিয়েছে সিএমপি। খবর টিবিএসের।

সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ গতকাল সোমবার বলেন, ভাড়া নিয়ে চলমান সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা গণপরিবহনের মালিকদের নির্দেশনা দেব, যাতে তাঁরা নিজেদের সিএনজিচালিত যানবাহনগুলো বিশেষ রং করেন।’

উপকমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আলী হোসেন বলেন, ‘আমরা সিএনজিচালিত গণপরিবহনগুলো শনাক্ত করতে বিশেষ রং ব্যবহার করার কথা চিন্তা করছি। যে রং থাকলে যাত্রীরা সহজেই চিনতে পারবেন কোনটি সিএনজিচালিত আর কোনটি ডিজেলচালিত গণপরিবহন।’

ডিজেলের দাম বাড়ায় গত রোববার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং বাসমালিকদের সভায় বাসভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।

সারা দেশে দূরপাল্লার বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৮০ পয়সা করা হয়। আর মহানগরীতে বিভিন্ন রুটের বাসভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সার থেকে বেড়ে হয় ২ টাকা ১৫ পয়সা। মিনিবাসের ক্ষেত্রে ১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয় ২ টাকা ৫ পয়সা।

এই হিসাবে দূরপাল্লার বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ এবং ঢাকায় ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভাড়া বেড়েছে। তবে সিএনজিচালিত গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়নি।