মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার ক্লুলেস ডাকাতির মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি রাত ১টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয়ে ১০ থেকে ১২ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল সিংগাইর থানাধীন নতুন ইরতা সাকিন এলাকার মো. নুর উদ্দিনের (৩২) বাসায় ঢোকে। এরপর তাঁর ছেলে রাব্বি (৯) ও ভাগিনা বাবলুকে (১৬) পিটিয়ে বেঁধে রাখে।

অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোবাইল ফোন, টাকা ও ৪ ভরি ৮ আনা স্বর্ণালংকার লুট করেন তাঁরা।

এরপর ডাকাত দল মো. নুর উদ্দিনের প্রতিবেশী প্রবাসী শাকিল খানের স্ত্রী মর্জিনা বেগমের (৩০) ঘরের দরজা ভেঙে ঢোকে। তাঁকে পিটিয়ে ৫ ভরি ৬ আনা স্বর্ণালংকার ও ২০ ভরি রুপার অলংকার লুট করে।

ডাকাতিতে মোট ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা লুট করা হয়।

উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিংগাইর থানায় অভিযোগ এলে অজ্ঞাতপরিচয়ে ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

মামলা হওয়ার পর মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান (পিপিএম-বার) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহা. হাফিজুর রহমানের নির্দেশনায় একটি টিম গঠন করা হয়।

সব পুলিশ কর্মকর্তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই এই ক্লুলেস ডাকাতির মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতেরা হলেন মিন্টু ওরফে সামাদ (৬০); তিনি সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের বাসিন্দা। রিপন ওরফে সাইফুল (২৯); তিনি কুশড়া ইউনিয়নের মধুডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। বিশু (৩৫); তিনি কুশরা ইউনিয়নের কুনি কুশরা গ্রামের বাসিন্দা। আশরাফুল মোল্লা (২০); তিনি সুতিপারা ইউনিয়নের কালামপুর চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

আছেন আ. কাদের ওরফে স্বপন (৩৫); তিনি ঢাকা জেলার ধামরাই থানার গাংগুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাইজুদ্দিন (৬০); তিনি আটাবর ইউনিয়নের গোসাত্রা উত্তর কাঞ্চনপুর গ্রামের বাসিন্দা। মনির (৩৭); তিনি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার আটাবর এলাকার বাসিন্দা। মো. বাদল ওরফে মনোয়ার হোসেন (২৮); তিনি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার রাজাহার ইউনিয়নের ধুসরিয়া গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের তথ্য অনুযায়ী লুট হওয়া মালামালের মধ্যে ১ ভরি স্বর্ণালংকার, ৫ হাজার টাকা, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত চাপাতি, ছুরি ও ৪টি লোহার রড জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিকে গ্রেপ্তার এবং লুট হওয়া বাকি মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।