পুলিশি হেফাজতে গ্রেপ্তার ২ আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

বগুড়ায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাবেক সেনাসদস্য হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।

নারী দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে মুক্তিপণের দাবি করা টাকা আদায়কে ঘিরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ব্ল্যাকমেল চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বগুড়া শহরতলী কৈগাড়ি এলাকার মিলনের পুত্র আশরাফুল ইসলাম এবং একই এলাকার শহিদুলের পুত্র মোস্তফা কামাল।

এ বিষয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সম্প্রতি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আলী হায়দার চৌধুরী জানান, বগুড়া শহরতলির ফুলতলার কৈগাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স করপোরাল জাকির হত্যার ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটন ও আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের টিম বগুড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জানতে পারে, সাবেক সেনাসদস্যকে নারী দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে পরে মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় হত্যা করা হয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে কৈগাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, সাবেক সেনাসদস্যকে বেশ কিছুদিন ধরে আশরাফুল, মোস্তফা কামালসহ তাঁদের ব্ল্যাকমেল চক্রটি টার্গেট করে আসছিল।

ঘটনার দিন গত শুক্রবার তাঁকে মিথ্যা কথা বলে এই চক্রটি কৈগাড়ী এলাকার একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তাঁরা একজন নারীকে দিয়ে আপত্তিকর ছবি তোলার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। পরে তাঁরা আরও টাকা দাবি করলে সেনাসদস্য জাকির আত্মরক্ষার জন্য দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে মোস্তফা কামাল সেনাসদস্যের পিঠে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু পুলিশ উদ্ধার করেছে।

এ ঘটনায় আরও কয়কজন জড়িত রয়েছে এবং তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।