পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার প্রতারক। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

রাজবাড়ীতে অভিনব কায়দায় ম্যাগনেটিক চাল বলে প্রচার চালিয়ে নিরীহ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম ক্ষিতীশ বিশ্বাস (৩৮)। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার শালিনাবক্সা এলাকার মারকণ্ঠ বিশ্বাসের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় রাজবাড়ী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. রেজাউল করিম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

রেজাউল করিম জানান, কিছুদিন ধরে একটি প্রতারক চক্র অভিনব কায়দায় অতি উচ্চমূল্যের ম্যাগনেটিক চাল বলে প্রচারণা চালিয়ে নিরীহ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বিক্রি করছিল। তারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও (গ্রুপ করে) এই প্রচারণা চালিয়েছে। প্রতারণার কাজে তারা গবেষণাগার, ওষুধ কোম্পানি ও মেডিকেলে ব্যবহৃত ভায়াল ও মাইক্রো সেন্ট্রিফিউজ টিউবে অতি আকর্ষণীয় করে সুকৌশলে প্রতিটি টিউবে একটি সাধারণ চাল স্থাপন করে এটিকে ম্যাগনেটিক চাল বলে প্রচার করে। এমনকি ভায়াল ও মাইক্রো সেন্ট্রিফিউজ টিউবগুলোকে সুন্দরভাবে সুকৌশলে কয়েকটি স্তরে কাগজ, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে পেঁচিয়ে ও ওপরের স্তরে টেপ পেঁচিয়ে আকর্ষণীয় করে মানুষের কাছে প্রতারণার মাধ্যমে বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।

রেজাউল করিম জানান, রাজবাড়ী জেলা পুলিশ এ ধরনের প্রতারক চক্রকে গ্রেপ্তারে তৎপর ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাত ৮টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাংলাদেশ হ্যাচারিজের সামনে থেকে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই রাখাল চন্দ্র দেবনাথ অফিসার ফোর্সসহ চেকপোস্ট বসিয়ে প্রতারক ক্ষিতীশকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে পাঁচ প্যাকেট প্রতারণার সরঞ্জামে মোট ২৮টি দুই মিলি ভায়াল ও সাতটি মাইক্রো সেন্ট্রিফিউজ টিউব পাওয়া যায়। যার প্রতিটির মধ্যে একটি সাধারণ চাল পাওয়া যায়।

গ্রেপ্তার প্রতারক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। চক্রে জড়িত অন্যান্য সদস্যকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।