অনন্য রেকর্ডের পর সাকিব আল হাসান

নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দুই উইকেট নিয়ে ছাড়িয়ে গেলেন শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে। হয়ে গেলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছেন টাইগাররা। ম্যাচে ১৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন সাকিব। খবর প্রথম আলোর।

স্কটল্যান্ডের রিচি বেরিংটন তুলে মারতে গেলেন সাকিবকে। বলটা গিয়েছিল অনেক দূর। তবে লং অনে আফিফ হোসেনের বুদ্ধিদীপ্ত ক্যাচ তাঁকে থামিয়ে দিল। প্রথমে বাউন্ডারির ভেতর ক্যাচটা নিয়ে নিজেকে সামলাতে বেরিয়ে গিয়েছিলেন আফিফ। সীমানার বাইরে যাওয়ার আগেই বল ছুড়ে দিয়েছিলেন ভেতরে। এরপর আবার মাঠে ঢুকে ক্যাচটা নিয়েছেন। সে উইকেট দিয়ে লাসিথ মালিঙ্গাকে ছুঁয়েছেন সাকিব আল হাসান।

এক বল পরই মাইকেল লিস্কের ছক্কা মারার ইচ্ছা জাগল। এবার লং অফকে লক্ষ্য বানালেন মাইকেল লিস্ক। এবার কোনো নাটক হয়নি, অনায়াসে ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস। আর লিস্ককে ফিরিয়ে দিয়েই মালিঙ্গাকে ছাড়িয়ে গেলেন সাকিব।
এটি ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের ১০৮তম উইকেট। বহুদিন ধরে ১০৭ উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির মুকুট পরে ছিলেন মালিঙ্গা। সেটা আজ থেকে সাকিবের। ৮৪ ম্যাচে ১০৭ উইকেট ছিল মালিঙ্গার। সাকিবের এটি ৮৯তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি।

মালিঙ্গাকে ছোঁয়ার অপেক্ষা সাকিবের বহুদিনের। নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেই চলছে এই ক্ষণগণনা। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দুটি করে উইকেট নিয়ে মালিঙ্গার সঙ্গে ব্যবধান এক-এ নামিয়ে এনেছিলেন সাকিব। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে উইকেট পাননি কোনো, পরের ম্যাচেও ছিলেন উইকেটশূন্য।

আজও প্রথম দুই ওভারে উইকেট পাননি। কিপ্টে বোলিংয়ে মাত্র ৮ রান দিয়ে অবশ্য চাপ সৃষ্টি করে রেখেছিলেন। প্রথম বলে ১ রান দিলেন। স্ট্রাইকে এলেন বেরিংটন। এরপরই তো স্মরণীয় সেই দুটি বল।

নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম বাংলাদেশি ও সব মিলিয়ে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট পেয়েছিলেন সাকিব।
২০০৬ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথম উইকেটটা নিয়েছিলেন সাকিব। ৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই।

প্রথম ৫০ উইকেট নিয়েছিলেন ৪২ ম্যাচ ও ১০ বছর সময় নিয়ে। পরের ৫০ উইকেট পেতেও তাঁর খেলতে হয়েছে ৪২ ম্যাচ। তবে পরের ৫০ উইকেট পেতে সাকিবের লেগেছে মাত্র ৫ বছর।