সাকিব আল হাসানকে আউট দেওয়ার বিতর্কিত সিদ্ধান্তে দ্রুত ধসে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। ছবি: সংগৃহীত

জিতলেই সেমিফাইনাল মাথায় নিয়েই অ্যাডিলেড ওভালে রোববার পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
কিন্তু আম্পায়ারদের বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তের কারণে ব্যাট হাতে দক্ষতা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব।

স্পিনার শাদাব খানের বল উইকেট ছেড়ে সামনে এসে খেলতে গিয়ে লেগ বিফোর হন সাকিব। পাকিস্তানিদের আউটের আবেদনে বেশ দেরিতে সাড়া দেন নন-স্ট্রাইকের আম্পায়ার। উইকেট বাঁচাতে রিভিউ নেন সাকিব। কিন্তু থার্ড-আম্পায়ারে বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বিদায় নিতে হয় সাকিবকে। খবর বাসসের।

রিপ্লেতে ব্যাটে-বলের হালকা স্পর্শ দেখা যায়। টিভি আম্পায়ার জানান, ব্যাট মাটিতে লাগায় শব্দ পাওয়া গেছে। এতে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্বান্ত বহাল থাকে। ফলে একরাশ হতাশা নিয়ে ১ বল খেলে শূন্য হাতে বিদায় নেন সাকিব। তার বিদায়ের পর মাত্র ৫৩ রানের মধ্যেই শেষ ৭টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, সাকিবের আউটে বাংলাদেশ দল মোমেন্টাম হারিয়েছে। এর আগে ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর অসাধারণ দক্ষতায় ১০.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৭৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। সাকিবের বিদায়ের পর লক্ষ্যভ্রষ্ট বাংলাদেশ দলের ইনিংস থামে ২০ ওভারে ১২৭ রানের মামুলি সংগ্রহে।

স্বল্প রানের ওই লক্ষ্য অতিক্রম করতেও ঘাম ঝরেছে পাকিস্তানের। ১৮.১ ওভারে ১২৮ রান তুলে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতেই তাদের হারাতে হয়েছে ৫টি উইকেট।

আইসিসির নিয়মের কারণে ম্যাচ শেষে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত ছিলেন ৪৮ বলে ৫৪ রান সংগ্রহের মাধ্যমে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া শান্ত। তবে তিনি জানান, সাকিবের আউটটি দলের মোমেন্টাম নস্ট করে দিয়েছে। একই সঙ্গে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ায় দলের অন্য ব্যাটারদেরও সমালোচনা করেন শান্ত।

তিনি বলেন,‘ সাকিব একজন বড় খেলোয়াড় এবং সবসময় গুরুত্বপুর্ন ইনিংস খেলার চেষ্টা করেন। তবে দলে থাকা অন্য ব্যাটাররা ভালো করতে পারেননি। আমরা একই দলের সদস্য। তাই তারা ভালো ব্যাট করতে না পারায় আমাদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে।’