যশোরে ডিবির অভিযানে গ্রেপ্তার দুই আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ স্ট্যাম্প ও চেক জব্দ করা হয়েছে। যশোরের মনিরামপুর থানা–পুলিশ ৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার দুই আসামির নাম পলাশ কুশারী (৪৩) ও মো. বুলবুল আহমেদ (৪৬)। তাঁরা দুজনই যশোরের মনিরামপুরের বাসিন্দা।

যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার) পিপিএম জানান, ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে মনিরামপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণাকারী একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের কাছ থেকে ৩১০টি খালি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প (যাতে বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষর রয়েছে), ১০০টি ব্যাংক চেক, ১৪৭টি প্রবেশপত্র (যার মধ্যে যশোর জেলায় পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের প্রবেশপত্র রয়েছে ১৭টি) জব্দ করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ৫ এপ্রিল (শুক্রবার) মনিরামপুর থানায় ভুক্তভোগী শ্যামল দাস মামলা করেছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, চক্রের সদস্যরা সংঘবদ্ধভাবে যশোর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে মোটা অঙ্কের টাকা চুক্তি করে। তারা অগ্রিম টাকা না নিয়ে ব্ল্যাংক চেক ও স্ট্যাম্প নিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের উদ্দেশ্য ব্ল্যাংক চেক ও স্ট্যাম্প নেওয়া ব্যক্তিদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চাকরি হয়ে গেলে তারা প্রার্থীদের কাছ থেকে চুক্তিবদ্ধ টাকা হাতিয়ে নিত। ভুক্তভোগী শ্যামল দাসের ছেলে সৌরভ কুমার দাস ৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কনস্টেবল পদে যশোর জেলায় প্রার্থী ছিলেন। তাঁকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৩ লাখ টাকা চুক্তি করে ব্ল্যাংক চেক ও স্ট্যাম্প নেয় চক্রটি।