বুধবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিআইডি

জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, সারসহ বিভিন্ন খাত মিলিয়ে সরকারকে বছরে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয় জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখেছেন, আর কত টাকা ভর্তুকি সরকার দিতে পারবে?

বুধবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে সরকারপ্রধানের এমন মন্তব্য আসে।

ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাসের ভাড়া বেড়েছে এবং বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে জানিয়ে একজন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ডিজেলের দাম কমানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের আছে কি না।

এর উত্তরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে বিদেশ থেকে ডিজেল কিনে আনতে হয়। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে বলেই দেশেও দাম বাড়াতে হয়েছে। কিন্তু তারপরও অনেক খাতে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।

কেবল জ্বালানি তেলেই ২৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার তথ্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কত টাকা ভর্তুকি দেব? বাজেটের সব টাকা তাহলে ভর্তুকিতে দিয়ে দেব। তাহলে কিন্তু সব উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের প্রতি দায়িত্ব সম্পর্কে আমরা সব সময় সচেতন। করোনার মধ্যে এমন কোনো শ্রেণিপেশার মানুষ নাই, যাদের আমরা নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করি নাই। একবার না, বারবার দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের উপায়টা কী? উপার্জনটা কী? আমাদের কী সম্পদ আছে? উন্নত দেশে যান, খাদ্যের জন্য হাহাকার। সুপারমার্কেট খালি, খোদ লন্ডনের কথা বলছি। আমাদের দেশে তো খাদ্যের অভাব হয় নাই।’

কর না দেওয়া এবং কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ট্যাক্সটা ফাঁকি দেওয়ার দিকেই সবার নজর। তাহলে টাকাটা আসবে কোথা থেকে? তাহলে কি দেউলিয়া হয়ে যেতে হবে?’

গ্যাসের সঙ্কট মেটাতে সরকার এলএনজি আমদানি করছে এবং সেখানেও বড় অংকের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে বলে জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।