মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে ২ জুন (বৃহস্পতিবার) মালয়শিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: বাসস

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব প্রটোকল বজায় রেখে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে উভয় পক্ষই মালয়শিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিরাপদ, নিয়মিত, সস্তা ও সুশৃঙ্খল কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার উপায় তৈরি করতে সক্ষম হবে। খবর বাসসের।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে ২ জুন (বৃহস্পতিবার) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওই কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের টিকাদান, অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতাসহ প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রটোকল বজায় রেখে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন।’

শেখ হাসিনা দুই দেশের মধ্যে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত শ্রমিকদের কর্মসংস্থানসংক্রান্ত এমওইউর পৃষ্ঠপোষকতায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মালয়েশিয়া সরকারের অসামরিক ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশি নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন।

কুশল বিনিময় শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ সফররত মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে স্বাগত জানান। তিনি স্মরণ করেন যে আমাদের স্বাধীনতার পরপরই মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে সম্পর্ক শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

বৈঠকে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী মালয়েশিয়ান চলমান জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাঁদের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পুনর্গঠন এবং আইএলও নির্দেশিকা অনুসরণ করে তাঁদের অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া সুগম করার বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ৫ বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ন্যূনতম মজুরি ১৫০০ আরএম বাড়ানো হয়েছে।’

দাতুক সেরি এম সারাভানান বলেছেন, তারা এখন সব কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করেছেন যাতে প্রতিটি পদক্ষেপে অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা হয়। মালয়শিয়া শুধু চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা নিয়োগকারী সংস্থাকে মাঝখানে না রেখেই নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে কর্মীদের বেতন কার্ড অ্যাকাউন্টে সরাসরি ই-পেমেন্ট ইনস্টল করেছেন।

তবে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এমওইউ বাস্তবায়ন বিলম্বিত হওয়ায় তিনি মানব পাচারের সম্ভাবনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।