‘সবুজ করি কুড়িগ্রাম’ স্লোগানে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আজ ৯ আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী নাগরিকদের মাঝে চারা গাছ বিতরণ করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলাকে সবুজ নগরীতে রূপান্তর করার প্রত্যয়ে জেলা পুলিশের চারা গাছ বিতরণ কর্মসূচি গত ১৮ জুলাই থেকে শুরু হয় এবং আজসহ মোট ৪০ হাজার চারা গাছ বিতরণ করা হয়েছে।

আজ রাজারহাট উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী ৩০৪টি পরিবারের মাঝে ৫০০টি ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান এসব চারাগাছ বিতরণ করেন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী (বাপ্পি), কুড়িগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম ওহিদুন্নবী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম, রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল্লা হিল জামান।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ‘সবুজ করি কুড়িগ্রাম’ কর্মসূচির মাধ্যমে চারা গাছ বিতরণ করায় রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারসহ সকলে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। তাঁরা বলেন, নিঃসন্দেহে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের এটি একটি ভালো উদ্যোগ।

পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ‘সবুজ করি কুড়িগ্রাম’ কর্মসূচির মাধ্যমে থানায় আসা সম্মানিত সেবাগ্রহীতা, জেলখানা থেকে জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত নাগরিক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে প্রায় ৪০ হাজার চারা গাছ বিতরণ করছি এবং বিভিন্ন থানা এলাকায় রাস্তার পাশে চারা গাছ রোপণ ও তার পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচর্যা অব্যহত রেখেছি। ভবিষ্যতে আমাদের এই কর্মসূচি চলমান থাকবে।

পুলিশ সুপার আরও উল্লেখ করেন, ক্লাইমেট নিশ্চিত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অহর্নিশ পরিশ্রম করে যাচ্ছন। প্রতি ইঞ্চি জমিকে প্রোডাকটিভ করার নির্দেশনা দিয়েছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন বৃক্ষরোপণের। নাগরিক হিসেবে আমাদের এই ধরনীকে উপযোগী রাখতে আমাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তা ছাড়া পুলিশ হিসেবে আমরা মনে করি, যারা প্রকৃতির সাথে জীবন যাপন করে, তারা অপরাধপ্রবণ হয় না। গাছ লাগানো, বইপড়া ইত্যাদি ইতিবাচক অপশনসমূহকে শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে, নেতিবাচক কাজসমূহ যেমন, মোবাইল আসক্তি, জুয়া, নেশা আসক্তি কমে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা আশা করি ‘সবুজ করি কুড়িগ্রাম’ কর্মসূচির মাধ্যমে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় আমরা কুড়িগ্রাম জেলাকে জলবায়ু সহিষ্ণু আপরাধহীন সমাজে রুপান্তর করতে সক্ষম হব।