একাদশ জাতীয় সংসদের উনবিংশতম অধিবেশন বসছে কাল রোববার। এই অধিবেশনের প্রথম দিনই নতুন ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করবে আইনসভা।

গত ১১ অগাস্টে এই অধিবেশন আহ্বান করেন মাননীয় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে বসতে যাওয়া এই অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হতে পারে বলে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

রোববার বিকাল ৪টায় কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের মেয়াদ ও অন্যান্য কার্যাবলী ঠিক হবে।

দিনের কর্মসূচির শুরুতেই রয়েছে সভাপতিমণ্ডলীর মনোনয়ন। তারপর নতুন ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করবে সংসদ। এক্ষেত্রে একজন নতুন ডেপুটি স্পিকারের নাম প্রস্তাব করবেন। তারপর আরেকজন সমর্থন করবেন।

পরে স্পিকার প্রস্তাবটি ভোটে দেবেন। সাধারণ সংসদের প্রধান হুইপ এ প্রস্তাব তোলেন। আরেকজন হুইপ বা জ্যেষ্ঠ সদস্য তা সমর্থন করেন।

নিয়ম অনুযায়ী স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারের পদ শূন্য হলে ওই সময় যদি সংসদের অধিবেশনের থাকে, তবে সাত দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিধান রয়েছে। আর অধিবেশনে না থাকলে পরের অধিবেশনের প্রথম দিন নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেজন্য রোববার কার্যাবলির শুরুতেই ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন হবে।

২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি ফজলে রাব্বী মিয়া একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে ডেপুটি স্পিকারের পদ এবং গাইবান্ধা-৫ আসন শূন্য হয়।

নতুন ডেপুটি স্পিকারকে সন্ধ্যা সাতটায় শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির চেম্বারে এই শপথ হবে বলে বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়েছে।

ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের পর শোক প্রস্তাব তুলবেন স্পিকার। রেওয়াজ অনুযায়ী প্রয়াত ডেপুটি স্পিকারের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হবে।

এবারের অধিবেশনেও সংসদ সদস্যসহ সংসদ সচিবালয়ের সব কর্মচারীর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হচ্ছে। খবর সংগ্রহের জন্য নিয়োজিত সাংবাদিকদেরও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে।

হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, ’এবারের অধিবেশনে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ সনদ থাকা সকল সংসদ সদস্য অংশ নেবেন। পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশন পরিচালনা করা হবে।’

শুরু হতে যাওয়া এই অধিবেশনে উত্থাপনের জন্য তিনটি সরকারি বিল জমা পড়েছে। এগুলো হলো- আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র বিল, সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল এবং সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল। এছাড়া কমিটিতে পরীক্ষাধীন ছয়টি, পাসের অপেক্ষায় তিনটি বিল রয়েছে।