সহিংসতার দ্বিতীয় রাতে বিক্ষিপ্ত অগ্নিসংযোগের পর শ্রীলঙ্কার পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক শীর্ষ কর্মকর্তা ১১ মে (বুধবার) এ কথা জানান।

পুলিশ বলেছে, সহিংসতায় সোমবার থেকে এ পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের হতাশা থেকে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি বিক্ষোভ দমনে কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ‘দেখামাত্র গুলির’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১০ মে (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীরা রাজাপক্ষের আত্মীয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে আগুন দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি আর স্বতঃস্ফূর্ত ক্রোধ নয়, বরং সংঘবদ্ধ সহিংসতা। যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনা হয়, তাহলে পুরোপুরি নৈরাজ্যের দিকে যেতে পারে।’

নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, ৮৫ হাজার সদস্যের পুলিশ বাহিনীকে ‘আক্রমণাত্মক অবস্থান গ্রহণ করতে বলা হয়েছে’ এবং গোলযোগকারীদের বিরুদ্ধে লাইভ গোলাবারুদ ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার সহিংসতা শুরু হওয়ার পরপরই জারি করা কারফিউ ১১ মে সকালে তুলে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সহিংসতার কারণে তা আরও ২৪ ঘন্টা বাড়ানো হয়েছে।

পুলিশ বলেছে, হোটেলে আগুনের পাশাপাশি ১০ মে সন্ধ্যায় তারা যানবাহনে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করলে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ দুটি স্থানে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের টার্গেটে থাকা বেশ কয়েকজন বিচারকের নিরাপত্তা জোরদার করেছে।