কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য জেলা পুলিশের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

২০১৬ সালের জঙ্গি হামলাকে বিবেচনায় রেখেই মূলত জেলা পুলিশের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে ঈদুল ফিতরের জামাতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এ তথ্য জানান। খবর জাগো নিউজের।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডমি) মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. আল আমিন হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার জানান, দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের এ জামাতকে কেন্দ্র করে শুক্রবার থেকে কিশোরগঞ্জ শহরের আবাসিক হোটেল ও ছাত্রাবাসসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি ও বিশেষ নজরদারি চলছে। শুক্রবার থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে পুলিশের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প বসছে। ওই ক্যাম্পের সদস্যরা ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা পালন করছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদগাহে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া আর কিছুই সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে বৃষ্টি হলে ছাতা নিয়ে মাঠে আসা যাবে।

তিনি জানান, ইতিমধ্যে মধ্যে ময়দানের সুরক্ষায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মানুষ যখন ঈদগাহ ময়দানে আসবেন পুলিশের চারটি চেকপোস্ট পেরিয়ে আসতে হবে। এখানে ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে ছয়টি। তার মধ্যে র‌্যাব ব্যবহার করবে দুটি আর চারটিতে পুলিশ থাকবে। মাঠে চারটি ড্রোন ক্যামেরা থাকবে। থাকবে মাইনো কোলারসহ ছয়টি ভিডিও ক্যামেরা।

এছাড়াও পুরো মাঠ সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে, যা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারে তাই আমাদের এ আয়োজন। এখানে ফায়ার সার্ভিস কাজ করবে। ছয়টি অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম থাকবে। পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম থাকবে। সুইপিং করা হবে। ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তায় বোমা শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয়করণের একটি দল ঢাকা থেকে শোলাকিয়া মাঠে মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে বিশেষ অনুসন্ধান চালাবে। এছাড়াও মাঠের নিরাপত্তায় পাঁচ প্লাটুন বিজিবি চাওয়া হয়েছে। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করবে।