প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্তজেলা গরুচোর চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের বিস্তারিত তুলে ধরেন শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

শেরপুর জেলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চোরাই কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ আন্তজেলা চোরচক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। ঢাকার আশুলিয়া, গাজীপুর, শেরপুর ও জামালপুরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে ১২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম।

গ্রেপ্তার আসামিদের নাম হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৫৫), মো. সুজন মিয়া ওরফে সুজন মোল্লা (২৮), মো. রাশেদুল ওরফে আসাদুল (৩২), মো. সম্রাট (২৫), মো. জীবন (২৫), মো. মুকুল আলী (৩০) ও মো. আমিন মিয়া (২৫)।

পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানান, শেরপুরের শ্রীবরদী থানার বকচর পূর্ব পাড়া গ্রামে গত ১৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে আব্দুল মমিন নামের এক ব্যক্তির গোয়ালঘরের তালা ভেঙে চারটি গাভি ও চারটি বাছুর চুরি হয়। ঘটনার সময় গরুগুলো ট্রাকে ওঠানোর সময় মমিনের ভাতিজা মো. রফিকুল ইসলাম শব্দ পেয়ে বাইরে এসে দেখে ফেলেন বিষয়টি। তিনি চিৎকার শুরু করলে চোরেরা গরু ট্রাকে তুলে দ্রুত পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর শ্রীবরদী থানা-পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তের সময় থানা-পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৫৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার আশুলিয়া থেকে আসামি মো. মুকুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রেপ্তার গরুচোর চক্রের সদস্যরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

পরে মুকুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৯ অক্টোবর দুপুরে গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকা থেকে আসামি সম্রাট, জীবন, রাশেদুল, সুজন, রইচ ও আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁদের তথ্যমতে সালনা এলাকা থেকে গরু চোরাই কাজে ব্যবহৃত ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। আসামিরা জানিয়েছেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তুরাগ থানার বেড়িবাঁধের ধৌর এলাকার মো. খাইরুল ইসলামের কাছে তাঁরা গরুগুলো বিক্রি করেছেন।

গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে সুজন ও রাশেদুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সম্রাট, জীবন, মুকুল ও আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।