মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়া অঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) পুরস্কার-২০২৩ প্রদান করেছেন।

আজ শনিবার সকালে নগরীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। খবর বাসসের।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় এবং বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের প্রথম অধিনায়ক আব্দুস সাদেক আজীবন সম্মননায় ভূষিত হয়েছেন।
নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ ও দক্ষিণ এশীয় স্বর্ণপদক জয়ী ভারোত্তোলক জিয়ারুল ইসলাম ক্রীড়াবিদ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন।

টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মুহতাসিম আহমেদ হৃদয় এবং হকি খেলোয়াড় আমিরুল ইসলাম উদীয়মান ক্রীড়াবিদ পুরস্কার পেয়েছেন।

এদিকে ক্রীড়া সংগঠক ক্যাটাগরিতে তৃণমূল হকি সংগঠক ফজলুল ইসলাম এবং কাসিন্দুর সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মালা রানী সরকারকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

খন্দকার তারেক মো. নুরুল্লাহ ক্রীড়া সাংবাদিক পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলাদেশ তিরন্দাজ ফেডারেশন ক্রীড়া সংস্থা/ফেডারেশন/সংগঠক পুরস্কার এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) স্পোর্টস স্পন্সর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।

বিএবির পক্ষে মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার ও চৌধুরী নাফিজ সারাফাত পুরস্কার গ্রহণ করেন।

এ ছাড়া মন্ত্রণালয় এই প্রথমবারের মতো শেখ কামাল এনএসসি পুরস্কারে ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার ক্যাটাগরি অন্তর্ভুক্ত করেছে। এ ক্যাটাগরিতে ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার পুরস্কার পেলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খান।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা, একটি ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান শেখ কামালের জীবন ও কর্মকাণ্ডের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষে বক্তব্য দেন আব্দুস সাদেক ও সাবিনা খাতুন।

এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরতে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন ও কর্মকাণ্ডের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ কামাল : ক্ষণজন্মা এক নক্ষত্র’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
এর আগে ৩ আগস্ট, মর্যাদাপূর্ণ শেখ কামাল এনএসসি পুরস্কার-২০২৩ এর জন্য আটটি ক্যাটাগরিতে ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।

ক্রীড়া ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের আলোকে সংশ্লিষ্ট কমিটি যাচাই-বাছাই করে এই পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম চূড়ান্ত করে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালে প্রথমবারের এই পুরস্কার প্রবর্তন করে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া বৃত্তিও’ বিতরণ করেন।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।

মোট ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা করে বছরে ১২,০০০ টাকা এবং একাদশ শ্রেণি থেকে অনার্স স্তরের শিক্ষার্থীদেরকে প্রতি মাসে ২,০০০ টাকা করে বছরে ২৪,০০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে।

এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১০ টাকার একটি স্মারক ডাকটিকিট, ৪০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্পসংবলিত একটি স্যুভেনির শিট, ১০ টাকার একটি উদ্বোধনী খাম, ৫ টাকার একটি ডেটা কার্ড অবমুক্ত করেন এবং একটি বিশেষ সিলমোহরও ব্যবহার করেন।