পুলিশি হেফাজতে দুই আসামি এবং জব্দ করা চোরাই মালপত্র। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

পটুয়াখালীর আউলিয়াপুরে চাঞ্চল্যকর শিশু মো. রাতুল (১০) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের দেওয়া তথ্যে উদ্ধার করা হয়েছে ভুক্তভোগীর অর্ধগলিত লাশ এবং চোরাই মালপত্র।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম জানান, সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালী থানাধীন জৈনকাঠী ইউনিয়নের সেহাকাঠী এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা হলেন মো. আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও মো. হানিফ হাওলাদার (৪১)। তাঁদের বাড়ি পটুয়াখালী সদর থানা এলাকায়।

পুলিশ সুপার জানান, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে পটুয়াখালী সদর থানাধীন ছোট আউলিয়াপুর এলাকার বাসিন্দা মো. গোলাম রহমান লিটন (৪৫) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে একদল চোর বাড়ি ও ডেকোরেটর্সের দোকানে চুরি করে। এ সময় ভুক্তভোগী লিটনের ছেলে মো. রাতুলকে অপহরণ করে নিয়ে যায় চোরেরা। এ ঘটনায় গত ২১ সেপ্টেম্বর মামলা করা হয়। তদন্তের একপর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, আসামি আনোয়ার ভুক্তভোগী রাতুলের প্রতিবেশী। সেই সুবাদে সাইকেল কেনার প্রলোভন দেখিয়ে রাতুলের মাধ্যমে তার পরিবারের সদস্যদের খাবারে চেতনানাশক মেশানো হয়। খাবার খেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে পেছনের দরজা দিয়ে বাড়িতে ঢোকেন তাঁরা। এরপর বাড়ি সংলগ্ন ডেকোরেটর্সের দোকান থেকে মালপত্র ও অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি করেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে একমাত্র সাক্ষী রাতুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর রাতুলের লাশ পূর্ব আউলিয়াপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘরে মাটিচাপা দেন আসামিরা।

পুলিশ সুপার জানান, আসামিদের দেওয়া তথ্যে সেখান থেকে ভুক্তভোগী রাতুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া আসামি হানিফের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় চোরাই মালপত্র ও অটোরিকশার ব্যাটারি। গ্রেপ্তার আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।