মায়ের কোলে গাজীপুরে উদ্ধার হওয়া শিশু।

গাজীপুরে এক শিশুকে চুরি করে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চুরির ছয় দিন পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ ওই শিশুকে উদ্ধার করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নগরের কাশিমপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ঝিনাইদহের শিমু আক্তার (২৬), জামালপুরের মুকিম বিল্লা (৪৩) ও ফরিদপুরের রীনা আক্তার (৩৮)। মুকিম ও রীনা স্বামী-স্ত্রী। গ্রেপ্তার তিনজনই কোনাবাড়ীর কাশিমপুর এলাকায় বসবাস করেন।

উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম আরিয়ান হোসেন। দেড় বছর বয়সী শিশুটি কাশিমপুর থানাধীন দক্ষিণ জরুন এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৮ এপ্রিল দুপুরে কাশিমপুরের ডেলটা মোড় এলাকায় নিজ বাড়িতে আরিয়ানকে গোসল করিয়ে ঘরের বারান্দায় দাঁড় করিয়ে রাখেন তাঁর মা। এরপর শিশুটির মা নিজে গোসল করতে যান। এ সময় একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল আরিয়ানকে চুরি করে নিয়ে যায়। গোসল শেষে ফিরে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও আরিয়ানকে আর পাননি মা। পরে আরিয়ানের বাবা আনোয়ার হোসেন কাশিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে কাশিমপুর জেলখানার পাশের এনায়েতপুর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। সে সময় শিশুটিকে চুরির অভিযোগে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপংকর রায় জানান, কাশিমপুরের এনায়েতপুর এলাকার মুকিম ও রীনার সংসারে কোনো সন্তান ছিল না। যার কারণে গ্রেপ্তার শিমুর মাধ্যমে তাঁরা ওই শিশুকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেন।

এসআই দীপংকর আরও জানান, ৫০ হাজার টাকায় শিশুটিকে বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকা পান শিমু। শিশুটি উদ্ধারের সময় শিমুর কাছ থেকে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। গতকাল রোববার তিন আসামির সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে আদালতের বিচারক মুকিম ও রীনার এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর শিমু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাঁকে রিমান্ড দেওয়া হয়নি। শিশুটিকে তার মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।