বগুড়ায় সাত বছর বয়সী এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাইকে (১৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) পুলিশ সুপার মো. স্নিগ্ধ আখতার পিপিএম জানান, লাশ গুমের অভিযোগে ওই কিশোরের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, ১৯ জানুয়ারি দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে ভুক্তভোগী শিশু নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। শিশুটি পানিতে ডুবে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক দফায় বাড়ির আশপাশের পুকুরে তল্লাশি চালিয়েও তার সন্ধান মেলেনি। খবর পেয়ে গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভুক্তভোগীর চাচার বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় একটি বস্তা থেকে ভুক্তভোগীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শিশুটিকে টিভি দেখার কথা বলে ধর্ষণ করে তার চাচাতো ভাই। শিশুটি এই ঘটনা লোকজনকে জানিয়ে দিতে পারে, এমন আশঙ্কায় তাকে গলা টিপে হত্যা করে ওই কিশোর। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে শিশুটির মরদেহ বস্তায় ভরে রাখে এবং সময় বুঝে অন্য কোথাও ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। ফায়ার সার্ভিস তল্লাশি চালানো শুরু করলে বিষয়টি মা-বাবাকে জানায় আসামি। পরে তারা লাশ গুমের চেষ্টা করে।
পুলিশ সুপার জানান, ওই কিশোর ও তার মা-বাবাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
