চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার নাওড়া এলাকার চাঞ্চল্যকর নুরুল আমিন দম্পতি হত্যা মামলায় পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার দুই আসামি

চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার নাওড়া এলাকার চাঞ্চল্যকর নুরুল আমিন দম্পতি হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চুরির উদ্দেশ্যে বাড়িতে ঢুকে দুজনকে খুন করে পালিয়ে যায় আসামি। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পিবিআইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার রড ও চুরি হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার তিন আসামির মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আবদুল মালেককে (৩৪) লাকসাম রেলওয়ে জংশন এলাকা থেকে ২২ অক্টোবর সকাল আটটায় গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি ইলিয়াছ হোসেনকে (৫৩) ঝালকাঠি জেলার গাবখান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ১৯ অক্টোবর। আর মো. বশিরকে (৪৫) চট্টগ্রাম রেল স্টেশন রোড এলাকা থেকে ২০ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ১ জুলাই সকালে শাহরাস্তি থানার নাওড়া এলাকার নুরুল আমিনের (৬৫) মরদেহ তাঁর বাড়ির ছাদ থেকে এবং তাঁর স্ত্রী কামরুন নাহারের (৬০) রক্তাক্ত মরদেহ ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাঁদের ছেলে মো. জাকারিয়া (৩৮) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি শাহরাস্তি থানার পুলিশ প্রায় এক মাস তদন্ত করে। পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের আদেশে পিবিআই চাঁদপুর জেলা মামলাটির তদন্ত শুরু করে।

পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম-এর সঠিক তত্ত্বাবধানে ও দিকনির্দেশনায় চাঁদপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার খন্দকার নূর রেজওয়ানা পারভীনের সার্বিক সহযোগিতায় মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কবির আহমেদ মামলাটি তদন্ত করেন।

চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার নাওড়া এলাকার চাঞ্চল্যকর নুরুল আমিন দম্পতি হত্যা মামলায় পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার এক আসামি

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ঘটনার রাত আনুমানিক ৭টার গৃহকর্তা নুরুল আমিনের ভবনের মূল গেট (কলাপসিবল) খোলা দেখতে পেয়ে আসামি আবদুল মালেক অতি গোপনে ভেতরে প্রবেশ করে চুরি করার উদ্দেশ্যে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠে অবস্থান করতে থাকে। গৃহকর্তা নুরুল আমিন রাত সোয়া ৯টার দিকে ছাদে উঠলে আসামি পেছন দিক থেকে রড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে এবং গলায় মোজা পেঁচিয়ে হত্যা করে। আসামি ছাদ থেকে নেমে চুরি করার উদ্দেশ্যে গোপনে একটি রুমে প্রবেশ করে ফাইল কেবিনেটের ড্রয়ার টানাটানি করতে থাকে। এতে নুরুল আমিনের স্ত্রী কামরুন নাহার কেবিনেটের ড্রয়ার খোলার শব্দ পেয়ে ঘরের লাইট জ্বালিয়ে আসামি আবদুল মালেক চিনতে পারায় আসামি লোহার রড দিয়ে কামরুন নাহারের মাথায় আঘাত করে। আসামির আঘাতের ফলে কামরুন নাহার ফ্লোরে পড়ে যান। পরে মালেক গৃহকর্তা নুরুল আমিনের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন নিয়ে ছাদের ওপরে ওঠে। ছাদের ওপর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত লোহার রডটি উত্তর দিকে ছুড়ে মেরে কাঁঠাল গাছ দিয়ে নিচে নেমে পালিয়ে যায়।