চোরাই মোটরসাইকেলসহ চোরচক্রের গ্রেপ্তার ৩ সদস্য। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

যশোরের শার্শা ও কেশবপুর থেকে দুটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় শার্শা থানার পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার করেছে চোরাই দুই মোটরসাইকেল।

শার্শা থানাধীন নাভারণ বাজারে তালেব প্লাজার সামনে থেকে গত ২৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার সময় মো. হাফিজু রহমানের একটি এপাচি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল ( যশোর-ল-১২-২০১৬) অজ্ঞাতনামা চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান শার্শা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

একইদিন কেশবপুর থানাধীন ত্রিমোহনী শ্বশানঘাট নামক স্থান থেকে মনিরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির ১টি হিরো স্প্লেন্ডার ১০০ সিসি মোটরসাইকেল ( যশোর-হ-২০-৬০২২) অজ্ঞাতনামা চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়।

মোটরসাইকেল চুরির ব্যাপারে মনিরুজ্জামান কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

এ দুটি অভিযোগ ছাড়াও একাধিক মোটরসাইকেল চুরির বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেলে জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের নির্দেশে ডিবির ওসি ডিবি রুপন কুমার সরকারের দিক-নির্দেশনায় এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম তদন্তে নামে।

ডিবির টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূল হোতা ও একাধিক চুরি মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীকে ১৩ এপ্রিল বিকেল ৬টার সময় যশোর খোলাডাঙ্গা এলাকা থেকে চোরাই ১টি হিরো স্প্লেন্ডার মোটরসাইকেলসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে নিয়ে কেশবপুর থানাধীন মঙ্গলকোট ও টিটা বাজিতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের আরো ২ সদস্য মো. মিজানুর রহমান ও মো. মজিবর সরদারকে গ্রেপ্তার করে এবং চোরাই এপাচি মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে যশোর ও আশপাশের জেলায় মোটরসাইকেল চুরি করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে থাকে।

গ্রেপ্তার আসামি মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ১৬টির বেশী চুরি ও মাদক মামলা রয়েছে।