শরণখোলায় মা ও মেয়ে হত্যার ঘটনার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই বাগেরহাট। ছবি: পুলিশ নিউজ

বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় মা ও মেয়ে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআই জানায়, গত বছরের ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় পাপিয়া আক্তার ও তাঁর মেয়ে সাউদা জেমিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন থেকেই পিবিআইয়ের একটি চৌকস টিম হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে।

জোড়া হত্যার ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই শরণখোলা থানায় গত বছরের ১২ আগস্ট মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত চলমান অবস্থায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে আলোচিত মামলাটি পিবিআই বাগেরহাট তদন্তের দায়িত্ব পায়।

মামলাটি তদন্ত অবস্থায় এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি পাপিয়ার স্বামী মো. আবু জাফর হাওলাদার (৩৯), পাপিয়ার ভাসুর ২ নম্বর আসামি আবু তালেব হাওলাদার ওরফে টুকু মাস্টার (৫৫) ও তাঁর স্ত্রী ৭ নম্বর আসামি আসমা বেগম (৪৫) ও পাপিয়ার আরেক ভাসুর ৬ নম্বর আসামি মো. আবু বক্কার হাওলাদার ওরফে খোকন (৫০) ১১ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা তাঁদের পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেন।

আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন মঞ্জুর করেন। পুলিশি হেফাজতে নিবিড় ও কৌশলী জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পাপিয়ার স্বামী মো. আবু জাফর হাওলাদার (৩৯) স্বীকার করেন, তিনি লোক দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করিয়েছেন। হত্যাকারী তাঁর মেয়েকেও খুন করেন।