সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে এবারও লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য আবেদন করতে হবে অনলাইনে।

মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

এতে বলা হয়, এবার স্কুল থেকে ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। অনলাইনে ২৫ নভেম্বর বেলা ১১টা থেকে ৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভর্তির আবেদন করা যাবে। খবর বিডিনিউজের।

অপরদিকে মাধ্যমিকের বাইরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

মাধ্যমিকের স্কুলগুলোর ভর্তির জন্য https://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা, যা রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে দিতে হবে।

লটারি হবে সরকারি স্কুলে ১৫ ডিসেম্বর এবং ঢাকা মহানগরসহ অন্যান্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদর ও উপজেলার বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ১৯ ডিসেম্বর।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক উইং) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন জানান, মাধ্যমিক স্কুলে লটারির মাধ্যমে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছরও প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়।

এর আগের বছরগুলোতে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হতো।

দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এবং নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে মাউশি জানিয়েছে, ঢাকা মহানগরের ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক স্কুল তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন প্রার্থী একই গ্রুপের পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বাধিক পাঁচটি স্কুল নির্বাচন করতে পারবে।

এ ছাড়া দেশের অন্যান্য স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের ক্ষেত্রে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে।

এ ক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুলের পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।

ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান-সংলগ্ন কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে।

আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের ক্ষেত্রে মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাওয়া যাবে।

এ ক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।