নৌপুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বরিশাল জোন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। ছবি : দ্য ডেইলি স্টার

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর দ্য ডেইলি স্টারের।

এ বিষয়ে নৌপুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বরিশাল জোন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত প্রায় সাড়ে ৩টার দিকে লঞ্চটি যখন নলছিটি ক্রস করে তখন এর ইঞ্জিনে আগুন লাগে। কিন্তু লঞ্চটি নলছিটিতে স্টপেজ দেয়নি, ঝালকাঠিতেও স্টপেজ দেয়নি। লঞ্চটি প্রায় ১ ঘণ্টা অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চলতে থাকে।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে ইঞ্জিনের আগুন সম্ভবত তেলের ট্যাঙ্কিতে লাগে এবং বিকট শব্দে লঞ্চটি ঘটনাস্থলে এসে থেমে যায়।

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘চালক বা ইঞ্জিনের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের গাফিলতির কারণেই যে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা আমরা এ মুহূর্তে নিশ্চিত। বিস্তারিত তদন্তের পর বলতে পারব। নৌপুলিশ এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত বা যাদের অবহেলায় এ দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

নৌপুলিশের সিনিয়র এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘লঞ্চের ভেতর ঘুমন্ত যাত্রী যারা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ। ১৫০ থেকে ২০০ জন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছি।’