পুলিশ স্টাফ কলেজের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার দুই সপ্তাহ মেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানের খণ্ডচিত্র। ছবি: পুলিশ নিউজ

স্মার্ট পুলিশিং চর্চার মাধ্যমে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও সেবাদানকারী সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ সরকার ঘোষিত রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের রেক্টর ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম।

পুলিশ স্টাফ কলেজের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার দুই সপ্তাহ মেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

কলেজের এসডিএস প্রশিক্ষণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এসডিএস (এঅ্যান্ডআর) ও ভাইস রেক্টর। প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ৬০ কর্মকর্তা অংশ নেন। কলেজের ফ্যাকাল্টিরা সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

রেক্টর বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে স্মার্ট পুলিশিং সংক্রান্ত এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কোর্স। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা স্মার্ট পুলিশিং বিষয়ে যে ধারণা লাভ করেছেন, তা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে স্মার্ট পুলিশ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। সে উদ্যোগের সারথি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ আন্তর্জাতিক মানের পুলিশি সেবা প্রদানে সক্ষম হবে। প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৈশ্বিক পুলিশের ন্যায় অপরাধ ব্যবস্থাপনা, জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পুলিশিং কার্যক্রমে পরিচালনায় সক্ষম হবে। এতদ্সঙ্গে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া অধিকতর বৃদ্ধি হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসডিএস (এঅ্যান্ডআর) বলেন, ‘পুলিশের কাজে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। এটি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন স্মার্ট জনবল এবং প্রযুক্তি ও পুলিশের সমন্বয়।’

ভাইস রেক্টর বলেন, অধুনা বিশ্বে পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্যার প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে প্রতিকার ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা সম্ভব। বিশ্বজুড়ে স্মার্ট পুলিশিংয়ের উত্তম চর্চাগুলো থেকে বাংলাদেশ পুলিশ অনুপ্রেরণা পেতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে এসডিএস (প্রশিক্ষণ) এ ধরনের প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি, নিয়মিতকরণ এবং সব পদবির কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।