ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসন অলংকৃত করে রাখা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ স্কটল্যান্ডের বালমোরালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাকিংহাম প্যালেস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
মাস কয়েক আগেই তাঁর সিংহাসনে আরোহণের ৭৫ বছর উদযাপিত হয়েছিল।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সাত দশক সিংহাসনে ছিলেন, যা ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সমাপ্ত হলো ইতিহাসের এক বর্ণিল অধ্যায়ের।
বাকিংহাম প্রাসাদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বালমোরালে রানি আজ বিকেলে শান্তিতে মারা গেছেন। আজ রাতে রাজা ও রানির সঙ্গীরা বালমোরালেই অবস্থান করবেন এবং আগামীকাল তাঁরা লন্ডনে ফিরবেন।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে নিয়ম অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের রাজা হিসেবে তাঁর বড় ছেলে চার্লস সিংহাসনে আরোহণ করছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি হতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ডসহ ১৪টি দেশের শীর্ষ নেতা। চার্লসের বর্তমান বয়স ৭৩ বছর।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, রানির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা তাঁর পরিবারের সদস্যরা স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে হাজির হন। শারীরিক অসুস্থতার এই সময়ে রানির পাশে থাকাটাই তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ গত বছরের শেষ দিক থেকেই প্রায় সব জনসমাগম থেকে দূরে ছিলেন। বাকিংহাম প্যালেসের ভাষ্য অনুযায়ী, রানি ‘এপিসোডিক মোবিলিটি’ সমস্যায় ভুগছিলেন।

সর্বশেষ যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে প্রশাসন গঠনের অনুরোধ জানানোর আনুষ্ঠানিকতার সময় রানিকে দেখা গেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ও দীর্ঘ সময় কোনো দেশের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন তাঁর বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর। সেটা ছিল ১৯৫২ সাল। ষষ্ঠ জর্জ মারা যান ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। আর মাত্র ২৫ বছর বয়সে ওই বছরেরই জুনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহণ করেন।