সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর স্মৃতিস্তম্ভে মোমবাতি প্রজ্বালন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন ও স্বাধীনতার প্রথম প্রহর উদযাপন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন মাননীয় সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন (বিপিএম-বার), পিপিএম)।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস। স্বাগত বক্তব্য দেন ডিএমপি পুলিশ কমিশনার ও বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাবিবুর রহমান (বিপিএম-বার), পিপিএম-বার)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‌‘আমি সেদিন খিলগাঁওয়ে আমার এক আত্মীয়ের বাসায় ছিলাম এবং আমি প্রত্যক্ষ করেছিলাম, কীভাবে পুলিশ বাহিনীর বীর সদস্যরা তাঁদের নিজের জীবন বাজি রেখে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন। তাঁদের সেই হার না মানা লড়াই আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে অন্যতম প্রেরণা হিসেবে তখন কাজ করেছিল। পুলিশ বাহিনীর বীর সদস্যদের প্রথম আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের শক্তি পেয়েছিলাম।’

জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন ও স্বাধীনতার প্রথম প্রহর উদযাপন অনুষ্ঠানে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতাযুদ্ধে নিহত সব পুলিশ সদস্য ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

আইজিপি বলেন, ‘রাজারবাগ থেকেই স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রথম সূচনা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজারবাগের বীর পুলিশ সদস্যরা ২৫ মার্চ রাতে থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর অত্যাধুনিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বাংলাদেশ পুলিশ স্বাধীনতার জন্য প্রথম বুলেট নিক্ষেপ করে আমাদের গর্বিত করেছে।’
বক্তব্য দিচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের বীর পুলিশ সদস্যরা অনেক আগে থেকেই যুদ্ধের জন্য মনেপ্রাণে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানের পর বিভিন্ন স্থানে গিয়ে তাঁরা পরিকল্পনা শুরু করেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য যেকোনো মুহূর্তে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বীর পুলিশ সদস্যরা। বীর পুলিশ সদস্যদের সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি, বিভিন্ন পদবির পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।