রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে উদ্ধার করা চোরাই মাল ও গ্রেপ্তার দুই আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

রাজশাহী মহানগরীতে চুরি করে পালানোর সময় এক চোরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করছে জনতা। পরে চোরাই মালামাল উদ্ধারসহ পলাতক আরও দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কাশিয়াডাঙ্গা থানা-পুলিশ। খবর আরএমপি নিউজের।

গ্রেপ্তার আসামিদের নাম মো. শিমুল (২৫), মো. নাইম (২৫) ও মো. রাজ্জাক (৪২)।

আরএমপি জানায়, কাশিয়াডাঙ্গা থানার নগরপাড়া চালকীপাড়া মোড়ের মোটর গ্যারেজের ম্যানেজার মো. বেল্লাল। ৪ জুন বেলা ২টার দিকে তিনি কাজে গ্যারেজের বাইরে যান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্থানীয় লোকমুখে তিনি জানতে পারেন, তাঁর গ্যারেজ থেকে লোহার প্লেন শিট চুরি করে পালানোর সময় স্থানীয় লোকজন ১ চোরকে আটক করেছে। তবে আরেকজন পালিয়ে গেছেন।

গ্যারেজের মালিক মো. সুরুজ আলী ও বেল্লাল আটক চোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, তিনি ও তাঁর সহযোগী নাইম দুজনে মিলে গ্যারেজের লোহার প্লেন শিট চুরি করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি আরও জানান, ৪ জুন দুপুরে তিনি ও নাইম মোটর গ্যারেজ থেকে নদীর মাটি খননকারী ড্রেজারের অ্যামপুলার, যার মূল্য ৩০ হাজার টাকা চুরি করে বোয়ালিয়া মডেল থানার মালদা কলোনিতে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেছেন।

পরে বেল্লালের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরএমপির কাশিয়াডাঙ্গা থানা-পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৫ জুন (সোমবার) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বোয়ালিয়া মডেল থানার মালদা কলোনিতে অভিযান চালিয়ে নাইমকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর শিমুল ও নাইমকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ৬ জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চোরাই মাল ক্রয়কারী অপর আসামি রাজ্জাকে গ্রেপ্তার করেছে।

জিজ্ঞাসাবাদে রাজ্জাক বলেছেন, তিনি ক্রয় করা চোরাই মালামাল অপর ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. আরব আলীর দোকানে বিক্রি করেছেন। পরে আরব আলীর দোকানের গোডাউন থেকে চোরাই মাল উদ্ধার করা হয়।