ঢাকা থেকে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একজন কলার জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল করে জানান, তিনি রাজধানীর মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় হিসেবে কাজ করেন। তাঁর বয়স ২৬ বছর। ২০১৭ সালে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়।

ওই কলার জানান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের চন্দ্রিমা থানাধীন এলাকায় নিজবাড়িতে বসবাসরত তাঁর মা কিছুক্ষণ আগে ফোন করে কান্নাকাটি করে বলেছেন, তিনি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন। এরপরই তিনি ফোন কেটে দেন এবং অনেকবার ফোন করার পরও আর ফোন রিসিভ করেননি। এ অবস্থায় প্রায় মাঝরাতে কলার আর কোনো উপায় না পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন এবং দ্রুত তাঁর মাকে উদ্ধারের অনুরোধ জানান।

৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল সৌমিত মৈত্র কলটি রিসিভ করেছিলেন। সৌমিত তাৎক্ষণিকভাবে চন্দ্রিমা থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। ৯৯৯ ডিসপাচার এসআই মেহেদি হাসান সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও কলারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।

সংবাদ পেয়ে চন্দ্রিমা থানা পুলিশের একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায় এবং উল্লিখিত বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ দরজা ধাক্কাধাক্কির পর কলারের মা নিজেই দরজা খুলে দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। জানা যায়, তিনি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে ঝুলন্ত অবস্থায় ওড়না খুলে তিনি নিচে পড়ে যান। ঠিক সেই মুহূর্তে চন্দ্রিমা থানার পুলিশ দল গিয়ে উপস্থিত হয়। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাঁকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চন্দ্রিমা থানা পুলিশ দলের নেতৃত্বে থাকা এএসআই লুৎফর রহমান ৯৯৯কে জানান, উদ্ধারকৃত আত্মহত্যার চেষ্টাকারী (৪৭) একটি প্রেমঘটিত সম্পর্কের মিথ্যা অপবাদ ও লাঞ্ছনায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কলারকে ফোন করা হলে তিনি জানান, তাঁর মা এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বিকেলের দিকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে মাকে বাড়িতে নিয়ে যাবেন।