পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার প্রতারক। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

রাজশাহীতে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রতারণা করার ঘটনায় প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপির বেলপুকুর থানা-পুলিশ। এ সময় আসামির কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ৩৫ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি আইফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামি মো. রুহুল আমিন ওরফে সুজন ওরফে মামুন (৩০) নাটোর জেলার লালপুর থানার মোমিনপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।

জানা যায়, মাদারীপুর জেলার শিবচর থানা এলাকার এক নারীর সঙ্গে আসামি রুহুল আমিনের ১০ মে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ২০ মে ওই নারীকে বিয়ে করবেন বলে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে রাজশাহীতে আসতে বলেন রুহুল। ভুক্তভোগী ওই নারী রাজশাহীর নওদাপাড়া আমচত্বরে এসে রুহুল আমিনের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা দুজন রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে ওই দিন রাত ১১টায় বেলপুকুর থানার তাড়াশ গ্রামের রফিকুল ইসলাম নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে যান। সকালে ওই নারী ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তাঁর মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও ৪০ হাজার টাকা নেই এবং রুহুল আমিনও নেই। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। রুহুল আমিনকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তিনি নগরীর বেলপুকুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

আরএমপির মতিহার বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মধুসূদন রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মামুনুর রশিদের দিকনির্দেশনায় বেলপুকুর থানা-পুলিশের একটি টিম আসামি রুহুল আমিনকে দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।

পরবর্তীকালে বেলপুকুর থানার এসআই রিপন হোসাইন ও তাঁর টিম ২৩ মে দিবাগত রাত ১২টায় আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দেওয়া তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার বারোরাস্তার মোড় থেকে আসামি রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া জিনিসপত্র তাঁর বাড়িতে আছে। আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর বাড়ি তল্লাশি করে ৩৫ হাজার টাকা, বিভিন্ন স্বর্ণালংকার ও একটি আইফোন উদ্ধার করা হয়। অবশিষ্ট জিনিস উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।