রাজপাড়া থানায় গ্রেপ্তার নারী পাচারকারী। ছবি : আরএমপি নিউজ

রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার মহিষবাথান এলাকা থেকে পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে যাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে ৪ কিশোরীকে উদ্ধার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) রাজপাড়া থানা পুলিশ। ওই সময় পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামির নাম চাঁদনী (৩০)। তিনি রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা। খবর আরএমপি নিউজের।

আরএমপি জানিয়েছে, গত ২৬ জুলাই সকালে ৪ কিশোরী স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকেলে তারা না ফিরলে তাঁদের অভিভাবকরা খোঁজ শুরু করেন।

স্থানীয় লোকজন তাঁদের জানান, চাঁদনী নামের এক নারীসহ ওই চার কিশোরীকে নগরীর মহিষবাথান কলোনীর উত্তর পাশের গেট দিয়ে যেতে দেখেছেন তাঁরা। পরে চাঁদনীর স্বামীর কাছে গিয়ে জানতে পারে চাঁদনী কাউকে না জানিয়ে প্রায় সময় ঢাকায় যায়। ১০ থেকে ১২ দিন পর আবার ফিরে আসে।

চাঁদনীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। কিশোরীদের অভিভাবকদের ধারণা আসামি চাঁদনীসহ তাঁর সহযোগীরা কিশোরীদের পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে গেছে।

এক কিশোরীর পিতার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা হয়।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি দল আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে। পরে আসামিদের গ্রেপ্তার ও পাচার হওয়া কিশোরীদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন।

পরে রাজপাড়া থানা পুলিশের ওই টিম বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাত সোয়া ১টার দিকে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার সাভার মডেল থানার পূর্ব রাজাসন এলাকা থেকে সাভার মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় আসামি চাঁদনীকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় ৪ কিশোরীকেওকে উদ্ধার করা হয়।

আরএমপি আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি যৌন কার্যকলাপের জন্য কিশোরীদের পাচারের কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর নামে মামলা হয়েছে।