পুলিশি হেফাজতে গ্রেপ্তার ছিনতাইকারী।

রাজবাড়ীর পাংশা থানা-পুলিশের অভিযানে ছিনতাইয়ের ১০ লাখ টাকা, একটি মোটরসাইকেলসহ এক ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন।

২৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাংশা সরদার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ওয়ালিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার ২ নম্বর আসামি নারায়ণপুরের রাকিবুল হাসান জিমের বাড়ির গোডাউন থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি লাল রঙের টিভিএস ১৫০ সিসির একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। খবর জাগো নিউজের।

পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার মো. খালিদ বিন ওয়ালিদ পাংশা নারায়ণপুরের আজিজুল মন্ডলের ছেলে।

তিনি জানান, মামলার বাদী দোলন চক্রবর্তী পাংশা উপজেলার সামনে শেখ এন্টারপ্রাইজ (ডিস্টিবিউশন হাউস) নগদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেলস সুপারভাইজার পদে কাজ করেন। ১৬ অক্টোবর সকালে রাজবাড়ী শহরের মনোক্কা টাওয়ারের সামনে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ২৪ লাখ টাকা তুলে শহরের আনসার ক্যাম্প মোড় স্বজনকান্দা হেড অফিসে ক্যাশিয়ারের কাছে ১৪ লাখ টাকা জমা রাখেন। বাকি ১০ লাখ টাকা একটি স্কুলব্যাগে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে পাংশা অফিসের উদ্দেশে রওনা হন। যাওয়ার পথে একটি মোটরসাইকেলে করে তিনজন এসে তাঁর গতিরোধ করে। এ সময় তারা টাকার ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করে। একপর্যায়ে মামলার বাদী তাদের চিনে ফেলার কথা বললে মামলার ১ নম্বর আসামি এনামুল হক (৩০) ধারালো ছুরি দিয়ে তাঁর হাতের কবজির ওপরে ও বুকের মাঝখানে কোপ দিয়ে জখম করে ১০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়া একটি মাইক্রোবাসচালক বিষয়টি বুঝতে পেরে ছিনতাইকারী ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করতে থাকেন। চিৎকার শুনে লোকজন ও কাছে থাকা পাংশা থানার দায়িত্বরত পুলিশ এগিয়ে এলে টাকাভর্তি ব্যাগটি ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।

মাসুদুর রহমান বলেন, এটি একটি চক্র। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।