পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানা-পুলিশের বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্র, ডাকাতির মালপত্রসহ আন্তজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ ২৭ আগস্ট দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা পুলিশ আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান পিপিএম (বার) সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, ২৪ আগস্ট দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজনগর থানাধীন ২ নং উত্তরভাগ ইউপির পশ্চিম লালাপুর গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার স্ত্রী জনৈকা আমিরুন নেছার (৫৫) বসতঘরের বারান্দার কলাপসিবল গেটের তালা কেটে ও ঘরের ছিটকিনি  ভেঙে অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন লোক দেশীয় অস্ত্রসহ ঢুকে ঘরের লোকদের হাত-পা বেঁধে ২০ হাজার টাকা, ৬ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও মালপত্র লুট করে।

এ ঘটনায় রাজনগর থানায় একটি ডাকাতি মামলা করা হয়।

এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আজমল হোসেন, রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায় এবং মামলার তদন্তকারী অফিসার সুলেমান আহমদসহ রাজনগর থানার একটি টিম ডাকাতির এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাজনগর থানাধীন ২ নং উত্তরভাগ ইউপির নয়াটিলা গ্রামের জাকির হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ডাকাত জাকির হোসেন (৪০), রুবেল মিয়া (৩০) ও আমির হোসেনকে (৪১) গ্রেপ্তার করা হয়।

তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য এবং ডাকাত জাকির হোসেনের দেখানোমতে তাঁদের হেফাজত থেকে এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি রুপার চেইন এবং আড়াই হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

পরে গ্রেপ্তার জাকির হোসেনের বসতবাড়ি-সংলগ্ন ঝোপ থেকে একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে রক্ষিত ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের তৈরি একটি কালো রঙের খেলনা পিস্তল, কাঠের হাতলবিশিষ্ট লোহার তৈরি দুটি ছুরি, একটি লোহার তৈরি রামদা, একটি লোহার তৈরি হ্যামার, তালা কাটায় ব্যবহৃত একটি লোহার তৈরি কাটার জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা আন্তজেলা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।

ডাকাত দলের পলাতক সদস্য এবং লুণ্ঠিত মালপত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। আজ দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহসিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আজমল হোসেন, রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায় প্রমুখ।